রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন

রাণীশংকৈলে ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ৫০ বিঘা জমির ফসল নষ্ট

dav

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি::

ঠাকুরগাাঁওয়ে রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নে ২টি ইটভাটার গ্যাসে ৫০ বিঘা জমির ফসল পুড়ে গেছে। উক্ত ভাটা মালিকরা কৃষি অফিসের প্রত্যয়ন পত্র না নিয়েই ইটভাটা স্থাপন করেছে আর তাদের ভাটার গ্যাসেই শতাধিক কৃষক আজ মাথায় হাত দিয়ে সমাজপতি সহ প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মহেষপুর গ্রামে এম,এন,বি ও কে,এম,বি ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ১৬ একর জমির বোরো ধান ও ২ একর জমির ভূট্টা ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবিতে গত ১৬ মে ভাটা মালিক আহাম্মদ হোসেন বিপ্লবের ট্রাক্টরটি আটক করলেও প্রভাবশালি মালিকের দাপটে থানা অফিসার ইনচার্জ খায়রুল আলম ডনের নির্দেশে একদল পুলিশ ট্রাক্টরটি মধুয়াবাড়ি নামক স্থান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মহেষপুর গ্রামের দর্শন আলীর পুত্র গোলাম রব্বানী, বৈশাগুর পুত্র হামিদুর রহমান, ইসমাইলের পুত্র মাহাতাব উদ্দীন, দবির উদ্দীনের পুত্র আইনুল হকের সাথে।

তারা জানায়, এম,এন,বি ভাটা মালিক আহাম্মদ হোসেন বিপ্লব, সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম সবুজ, মতিউর রহমান মতি কৃষি জমিতে ভাটা স্থাপন করে, যার বিষাক্ত গ্যাস আমাদের ফসলগুলো নষ্ট করেছে। এছাড়াও কে,এম,বি ইট ভাটা মালিক ফারুক মাষ্টার ও জব্বার মাষ্টারের ভাটার বিষাক্ত গ্যাসেও আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয়দেব নাথ এ প্রতিনিধিকে বলেন- ভাটা স্থাপনের সময় এ ভাটা ২টি কৃষি অফিসের কোন প্রত্যয়ন পত্র না নিয়েই ভাটা স্থাপন করেছে। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের তালিকা তৈরি করেছি ক্ষতির কারণ উদঘাটনের জন্য। এছাড়াও ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভাটা মালিক আহাম্মদ হোসেন বিপ্লব বলেন, সরকারের নিয়ম মেনেই হাওয়া ভাটা তৈরি করা হয়েছে এর পরও যদি ফসল নষ্ট হয় আমাদের কোন করণীয় নেই। কে,এম,বি ইট ভাটা মালিক ফারুক মাষ্টার বলেন, বিপ্লবের ভাটা থেকে এ ক্ষতি হয়েছে আমাদের ভাটা থেকে নয়।

এ ব্যাপারে ওসি খায়রুল আনাম ডন (তদন্ত) বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই ট্রাক্টরটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com